এসি (ল্যান্ড) এবং ভূমি অফিসের (তহসিল) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদবী এবং তাদের কাজ সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনার কাজ করাতে সুবিধা হবে।
এসি (ল্যান্ড) বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। প্রকৃতপক্ষে তার পুরো পদবী হলো সহকারী কমিশিনার (ভূমি) বা Assistant Commissioner (Land)। তিনি কালেক্টর বা ডিসি এর প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন আইনের অধীনে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের কাজ করে থাকেন। আপনার ভূমি সংক্রান্ত অধিকাংশ সমস্যার সমাধানের এখতিয়ার বা authorityএসি (ল্যান্ড) এর রয়েছে। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এডিসি (রেভিন্যু) এবং সর্বোপরি ডিসি বা জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে থেকে কাজ করেন।
কানুনগো একজন ২য় শ্রেণীর রাজস্ব কর্মকর্তা। এই পদবীটি সুপ্রাচীন। ফারসি ভাষায় কানুনগো শব্দের অর্থ যিনি আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ বা দক্ষ। কানুনগো মূলতঃ মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসসমূহ পরিদর্শন করে এসি (ল্যান্ড)কে রিপোর্ট করে থাকেন এবং এসি (ল্যান্ড)কে ভূমি ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করে থাকেন।
সার্ভেয়ার একজন ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী। সার্ভেয়ার জমি-জমার মাপজোক, নকশা প্রস্তুত ইত্যাদি কাজে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন। কোন জমি নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে এসি (ল্যান্ড) তাকে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলে থাকেন।
নামজারি সহকারী একজন ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী। তিনি মূলতঃ এসি (ল্যান্ড) অফিসের মিউটেশন কেস নথি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকেন। অনেক সময় তিনি মিস কেসের (miscellaneous case) নথিও এসি (ল্যান্ড) এর নিকট উপস্থাপন করে থাকেন।
নাজির একজন ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী। তিনি এসি (ল্যান্ড) অফিসের রেকর্ড রুমের দায়িত্বে থাকেন। নামজারি কেস মঞ্জুরের পর তিনিই মিউটেশন পড়চা ও ডিসিআর সরবরাহ করে থাকে। রেকর্ড কারেকশনের দায়িত্বও তার। এসি (ল্যান্ড) অফিসের রেকর্ড বইসমূহ তার তত্ত্বাবধায়নে থাকে।
চেইনম্যান একজন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী। তিনি সাধারণত জমি মাপার কাজে সার্ভেয়ারকে সহায়তা করে থাকেন।
প্রসেস সার্ভার বা জারীকারকও একজন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী। তিনি মিউটেশন কেস, মিস কেস বা অন্য যে কোন নোটিশ ও চিঠিপত্র জারী করে থাকেন।
ইউনিয়ন ভূমি অফিস বা তহসিল অফিসের পরিচয়
ভূমি অফিস বা ইউনিয়ন ভূমি অফিস বা তহসিল
ইউনিয়ন ভূমি অফিসসমূহ এসি (ল্যান্ড) অফিসের অধীনস্থ মাঠ পর্যায়ের অফিস। ঢাকা ও অন্যান্য মহানগর এলাকায় এর নাম ভূমি অফিস। সাধারণভাবে এগুলো তহসিল অফিস নামেও পরিচিত। অবশ্য সকল ইউনিয়নে এই ভূমি অফিস নেই। আবার পৌরসভা এলাকার ভূমি অফিস পৌর ভূমি অফিস নামে পরিচিত।
ভূমি অফিসের প্রধানকে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (মহানগর এলাকায় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা) বলে। প্রচলিতভাবে এরা তহসিলদার নামেও পরিচিত। ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বা তহসিলদার একজন ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী। তিনি মাঠ পর্যায়ের ভূমি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকেন। নামজারি বা মিউটেশনের প্রস্তাব প্রেরণ, খাজনা আদায়, সরকারি ভূমির তত্ত্বাবধায়ন, ভূমি সংক্রান্ত তদন্ত, তহসিল অফিসের রেকর্ড, রেজিস্টারের ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির দায়িত্ব তার। স্থানীয় পর্যায়ের জমি-জমা সম্পর্কে তার ভাল জানাশোনা থাকায় ভূমি সংক্রান্ত যে কোন তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে তার সহায়তা গ্রহণ করাই শ্রেয়।
তহসিলদার বা ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে সহায়তা করার জন্য একজন সহকারী তহসিলদার বা ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা থাকেন। তার কাজও তহসিলদারের অনুরূপ। তবে তিনি তহসিলদারের নিয়ন্ত্রণে থেকে কাজ করেন।
এসি (ল্যান্ড) বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। প্রকৃতপক্ষে তার পুরো পদবী হলো সহকারী কমিশিনার (ভূমি) বা Assistant Commissioner (Land)। তিনি কালেক্টর বা ডিসি এর প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন আইনের অধীনে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের কাজ করে থাকেন। আপনার ভূমি সংক্রান্ত অধিকাংশ সমস্যার সমাধানের এখতিয়ার বা authorityএসি (ল্যান্ড) এর রয়েছে। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এডিসি (রেভিন্যু) এবং সর্বোপরি ডিসি বা জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে থেকে কাজ করেন।
কানুনগো একজন ২য় শ্রেণীর রাজস্ব কর্মকর্তা। এই পদবীটি সুপ্রাচীন। ফারসি ভাষায় কানুনগো শব্দের অর্থ যিনি আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ বা দক্ষ। কানুনগো মূলতঃ মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসসমূহ পরিদর্শন করে এসি (ল্যান্ড)কে রিপোর্ট করে থাকেন এবং এসি (ল্যান্ড)কে ভূমি ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করে থাকেন।
সার্ভেয়ার একজন ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী। সার্ভেয়ার জমি-জমার মাপজোক, নকশা প্রস্তুত ইত্যাদি কাজে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন। কোন জমি নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে এসি (ল্যান্ড) তাকে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলে থাকেন।
নামজারি সহকারী একজন ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী। তিনি মূলতঃ এসি (ল্যান্ড) অফিসের মিউটেশন কেস নথি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকেন। অনেক সময় তিনি মিস কেসের (miscellaneous case) নথিও এসি (ল্যান্ড) এর নিকট উপস্থাপন করে থাকেন।
নাজির একজন ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী। তিনি এসি (ল্যান্ড) অফিসের রেকর্ড রুমের দায়িত্বে থাকেন। নামজারি কেস মঞ্জুরের পর তিনিই মিউটেশন পড়চা ও ডিসিআর সরবরাহ করে থাকে। রেকর্ড কারেকশনের দায়িত্বও তার। এসি (ল্যান্ড) অফিসের রেকর্ড বইসমূহ তার তত্ত্বাবধায়নে থাকে।
চেইনম্যান একজন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী। তিনি সাধারণত জমি মাপার কাজে সার্ভেয়ারকে সহায়তা করে থাকেন।
প্রসেস সার্ভার বা জারীকারকও একজন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী। তিনি মিউটেশন কেস, মিস কেস বা অন্য যে কোন নোটিশ ও চিঠিপত্র জারী করে থাকেন।
ইউনিয়ন ভূমি অফিস বা তহসিল অফিসের পরিচয়
ভূমি অফিস বা ইউনিয়ন ভূমি অফিস বা তহসিল
ইউনিয়ন ভূমি অফিসসমূহ এসি (ল্যান্ড) অফিসের অধীনস্থ মাঠ পর্যায়ের অফিস। ঢাকা ও অন্যান্য মহানগর এলাকায় এর নাম ভূমি অফিস। সাধারণভাবে এগুলো তহসিল অফিস নামেও পরিচিত। অবশ্য সকল ইউনিয়নে এই ভূমি অফিস নেই। আবার পৌরসভা এলাকার ভূমি অফিস পৌর ভূমি অফিস নামে পরিচিত।
ভূমি অফিসের প্রধানকে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (মহানগর এলাকায় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা) বলে। প্রচলিতভাবে এরা তহসিলদার নামেও পরিচিত। ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বা তহসিলদার একজন ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী। তিনি মাঠ পর্যায়ের ভূমি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকেন। নামজারি বা মিউটেশনের প্রস্তাব প্রেরণ, খাজনা আদায়, সরকারি ভূমির তত্ত্বাবধায়ন, ভূমি সংক্রান্ত তদন্ত, তহসিল অফিসের রেকর্ড, রেজিস্টারের ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির দায়িত্ব তার। স্থানীয় পর্যায়ের জমি-জমা সম্পর্কে তার ভাল জানাশোনা থাকায় ভূমি সংক্রান্ত যে কোন তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে তার সহায়তা গ্রহণ করাই শ্রেয়।
তহসিলদার বা ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে সহায়তা করার জন্য একজন সহকারী তহসিলদার বা ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা থাকেন। তার কাজও তহসিলদারের অনুরূপ। তবে তিনি তহসিলদারের নিয়ন্ত্রণে থেকে কাজ করেন।